১০ জানুয়ারি: ইতিহাসে আজকের এইদিনে।
১০ জানুয়ারি: ইতিহাসে আজকের এইদিনে
১০ জানুয়ারি, ২০১৮, বুধবার। ২৭ পৌষ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১০ তম (অধিবর্ষে ১১ তম) দিন। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলি
১৯২০ -ভার্সাই চুক্তি কার্যকর হয়।
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
১৯২০ -ভার্সাই চুক্তি কার্যকর হয়।
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
জন্ম
১৮৮৩ - আলেক্সেই নিকলাইয়েভিচ তলস্তোয়, সোভিয়েত রুশ লেখক।
১৯৭০ - আলিসা মারিখ, সার্বীয় গ্রান্ডমাস্টার, দাবা।
১৯৭২ - ব্রায়ান ললার, মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা।
১৯৭৩ - গ্লেন রবিনসন, মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড়।
১৯৭৪ - ঋত্বিক রোশন, ভারতীয় অভিনেতা।
১৯৭৫ - জ্যাক ডেলোমি, মার্কিন ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭৬ - এডাম কেনেডী, মার্কিন বেসবল খেলোয়াড়।
১৯৭৮ - ব্রেন্ট স্মিথ, মার্কিন গায়ক, শাইনডাউন গানের দল।
১৯৪৮ - ডোনাল্ড ফাগেন,মার্কিন রক কিবোর্ডবাদক
১৯৪৮ - তেরেসা গ্রাভেস, মার্কিন অভিনেত্রী এবং কৌতুকাভিনেত্রী
১৯৪৮ - মিস্চা মায়স্ক্য়,, লাতভীয় বাদ্যযন্ত্রকারী
১৯৪৮ - উইলিয়াম স্যানডারসন, মার্কিন অভিনেতা এবং কৌতুকাভিনেতা
১৮৮৩ - আলেক্সেই নিকলাইয়েভিচ তলস্তোয়, সোভিয়েত রুশ লেখক।
১৯৭০ - আলিসা মারিখ, সার্বীয় গ্রান্ডমাস্টার, দাবা।
১৯৭২ - ব্রায়ান ললার, মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা।
১৯৭৩ - গ্লেন রবিনসন, মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড়।
১৯৭৪ - ঋত্বিক রোশন, ভারতীয় অভিনেতা।
১৯৭৫ - জ্যাক ডেলোমি, মার্কিন ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭৬ - এডাম কেনেডী, মার্কিন বেসবল খেলোয়াড়।
১৯৭৮ - ব্রেন্ট স্মিথ, মার্কিন গায়ক, শাইনডাউন গানের দল।
১৯৪৮ - ডোনাল্ড ফাগেন,মার্কিন রক কিবোর্ডবাদক
১৯৪৮ - তেরেসা গ্রাভেস, মার্কিন অভিনেত্রী এবং কৌতুকাভিনেত্রী
১৯৪৮ - মিস্চা মায়স্ক্য়,, লাতভীয় বাদ্যযন্ত্রকারী
১৯৪৮ - উইলিয়াম স্যানডারসন, মার্কিন অভিনেতা এবং কৌতুকাভিনেতা
১৯৫১ - সিনক্লেয়ার লুইস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক ও নাট্যকার।
২০১৬ - ডেভিড বোয়ি, ব্রিটিশ গায়ক, গীতিকার এবং অভিনেতা।
১০ জানুয়ারি ও বাংলাদেশ:
১০ জানুয়ারি। বাংলার ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
১৯৭২ সালের এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন।
১০ জানুয়রির এই ঘটনা ছিল বাংলাদেশ জন্মের ইতিহাসের আরেক আশীর্বাদ এবং বিজয়গাঁথা। অন্ধকার হতে আলোয় যাত্রা।
১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পরই বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানায়।
সেই সময়ে প্রকাশিত পত্রিকা থেকে জানা যায়, বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে পাকিস্তান সরকার, প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ ও বাংলাদেশের মাটিতে আত্মসমর্পণকৃত পাকিস্তানি সৈন্যদের নিরাপদে স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদে বঙ্গবন্ধুকে তার স্বদেশে ফিরিয়ে দিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বেলা ১০টার পর থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।
১০ তারিখ সকালেই বঙ্গবন্ধু ভারতের দিল্লিতে নামেন। সেখানে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, প্রধান নেতারা, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সে দেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন।
সংগৃহীত
সংগৃহীত