বিজ্ঞাপন

Header ADS

আমাদের মেহেন্দিগঞ্জ । আমাদের উপজেলা।



মেহেন্দিঞ্জ উপজেলার প্রশাসনিক ম্যাপ


পরিচিতি : মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা


অবস্থান ২২°৪১´ থেকে ২৩°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৩´ থেকে ৯০°৩৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। 

সীমানা : উত্তরে হিজলা এবং মুলাদী উপজেলা, দক্ষিণে বরিশাল সদর এবং ভোলা সদর উপজেলা, পূর্বে ভোলা সদর, লক্ষ্মীপুর সদর এবং রায়পুর উপজেলা, পশ্চিমে মুলাদী ও বরিশাল সদর উপজেলা।


ভাষা ও সংষ্কৃতি :

সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শিল্পকলা একাডেমি , মেহেন্দিগঞ্জ থিয়েটার,ললিতকলা একাডেমি, সুর ললীতকলা একাডেমি,সপ্ত সুর একাডেমি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংঘটন কাজ করে যাচ্ছে।

খেলাধুলা ও বিনোদন :

খেলাধূলায় মেহেন্দিগঞ্জ বরিশাল জেলার মধ্যে অন্যতম স্থান দখল করে আছে। উপজেলায় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে বাসরিক খেলা ধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন খেলাধুলার ব্যবস্থা করে থাকে। বর্তমনে এ জেলায় ক্রিকেট ও ফুটবলের জনপ্রিয়তা অনেক বেশী।নিন্মে কিছু এ উপজেলার কিছু খেলাধুলার নাম উল্লেখ করা হল:

১। ফুটবল
২। ভলিবল
৩।হাডুডু
৪।দাড়িয়াবান্দা
৫।গোল্লাছুট
উলানিয়া জমিদার বাড়ির জামে মসজিদ

মুক্তিযুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জ :

স্বাধীনতা যুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জের বীর সন্তানেরা এক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।মেহেন্দিগঞ্জ এর কমান্ডার ছিল আ:বাছেদ। এছাড়া অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল।মুক্তি যোদ্ধাদের তালিকা অনেক দীর্ঘ।


হোটেল ও আবাসনের তালিকা :

ক্রমিকনামপরিচালনাকারী/মালিকের নামহোটেল/মোটেল/রেস্তোরাঁ/রেস্ট হাউজ/গেস্ট হাউজ/ডাকবাংলো ইত্যাদির ঠিকানামোবাইল নং
হোটেল ও আবাসনের ধরণঃ
জেলা পরিষদ ডাক বাংলা০১৯১৩৮৬৩৮২৯
অবকাস হোটেলশাহে আলমথানা রোড,উপজেলা সদর ,মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল।০১৯১৮ ৫০৩২০৭


পত্র পত্রিকা

পত্রিকার নাম: মেহেন্দিগঞ্জ বার্তা
সম্পাদক:  মোঃ  মনোয়ার রশিদ খান


প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব:


আব্দুল গাফফার চৌধুরী




কবি আসাদ চৌধুরী





প্রশাসনিক এলাকা :


  1. আন্দারমানিক
  2. লতা
  3. চর এককরিয়া
  4. উলানিয়া
  5. মেহেন্দিগঞ্জ
  6. বিদ্যানন্দপুর
  7. ভাষানচর
  8. চরগোপালপুর
  9. জাংগালিয়া
  10. আলিমাবাদ
  11. শ্রীপুর
  12. চানপুর
  13. দড়িচর খাজুরিয়া
  14. গোবিন্দপুর
  15. জয়নগর
আয়তন : ৪৩৫.৭৯ বর্গ কিমি।
জনসংখ্যা : ৩০৪৩৬৪; পুরুষ ১৫৪৪০০, মহিলা ১৪৯৯৬৪। মুসলিম ২৯১৬৭৯, হিন্দু ১২৫৬৯, বৌদ্ধ ৮, খ্রিস্টান ৪৮ এবং অন্যান্য ৬০।
জলাশয় : মেঘনা, লতা, আড়িয়াল খাঁ, তেতুলিয়া, ধর্মগঞ্জ, আজিমপুর, নয়াভাঙ্গা, সুলতানী ও গণেশপুরা নদী উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন : মেহেন্দীগঞ্জ থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৫ অক্টোবর ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা
পৌরসভাইউনিয়নমৌজাগ্রামজনসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
শহরগ্রামশহরগ্রাম
১৩১২৪১৫৫৩২৯৫২২৭১৪১২৬৯৮৬৩.৮৪৪.৪
পৌরসভা
আয়তন (বর্গ কিমি)ওয়ার্ডমহল্লালোকসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
১৪.৯৬০৯১১২৯২৮১১৯৫৭৬২.৫৩
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি)মৌজালোকসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
২.২৯-৩৬৭১১৬০৩৬৫.২২
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোডআয়তন (একর)লোকসংখ্যাশিক্ষার হার (%)
পুরুষমহিলা
আন্ধারমানিক ১৫৬১০৬১০৭৫০১০৪৪৮৪৫.৮১
আলীমাবাদ ১৩১২৯১৩১৩৬০৫১৩১৭৩৪০.০১
উলানিয়া ৯৪৬০৯৬১৯৩২৩১৮১০৩৪৯.৪৮
গোবিন্দপুর ৪০১০৫৮০১৪৯৯৫১৩৯৬১৩৯.১৫
চর গোপালপুর ৫৫৬৫৯৩৭৪৫০৭১০৪৪১.৫৯
চরএক্কারিয়া ৪৭১১৫৪৮১৫১৭৯১৫৪০৫৪৩.০৭
চাঁদপুর ৩৯৪২১২১০৯৬৫১০৯৯৮৪২.৬২
জাঙ্গালীয়া ৭১৮৮৪৫১০২৮২৯৭০৫৩৪.০৭
দড়িচর খাজুরিয়া ৬৩৪৬৮৭৫৯০২৫৬৫১৩৭.৬৫
বিদ্যানন্দপুর ৩১৭৬৬৭৬২৪২৬২৬১৪৫.২৬
ভাসানচর ২৩৪৫২৪৭৫১৫৭৫১১৫৪.৯৫
মেহেন্দীগঞ্জ ৮৭৫৭৭৭৭৪৮৯৭৪৭৯৫২.৪৬
লতা ৭৯৭১৪১৯৮৭০৯৭১৭৫৪.৯৮
সূত্রঃ  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ : উলানিয়ার জমিদার বাড়ী ও মসজিদ, বাসুদেব মূর্তি এবং সংগ্রাম সিংহের কেল্লা (মোগল আমলে নির্মিত)।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন : স্মৃতিস্তম্ভ ১ (পাতারহাট আর সি কলেজ প্রাঙ্গণ)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ ৩৩০, মন্দির ২৮।
শিক্ষার হার : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৬.৫%; পুরুষ ৪৬.৫%, মহিলা ৪৬.৫%। 
কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭০, মাদ্রাসা ১১৩। 
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : পাতারহাট আর সি কলেজ, একতা কলেজ, উলানিয়া মুজাফ্ফর খান কলেজ, আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমীরগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লস্করপুর উত্তর জাঙ্গালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উদয়পুর মুসলিম আকন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উলানিয়া করনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উলানিয়া বালিকা বিদ্যালয় (মাধ্যমিক), কালিকাপুর রমিজস্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাতারহাট মুসলিম হাইস্কুল (১৯২৪), ভাষানচর এস এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৩), আন্ধারমানিক আজিমপুর দাখিল মাদ্রাসা, আন্ধারমানিক আলীমাবাদ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, আসলামিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, উলানিয়া আহমদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, পাতার হাট সিনিয়র মাদ্রাসা, ভাসানচর নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, মাদারতলী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, সন্তোষপুর সিনিয়র মাদ্রাসা।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৪২, সিনেমা হল ১, মহিলা সংগঠন ৫, খেলার মাঠ ৩৫, নাট্যদল ১।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস  : কৃষি ৫৯.৭৬%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৩৩%, ব্যবসা ১৩.৬৮%, পরিবহণ ১.৪৪%, চাকরি ৭.৫৫%, নির্মাণ ১.৭০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.৪৫% এবং অন্যান্য ৯.০৯%।
কৃষিভূমির মালিকানা :  ভূমিমালিক ৫৮.৮৫%, ভূমিহীন ৪১.১৫%। শহরে ৫২.৩০% ও গ্রামে ৫৯.৬২% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল  : ধান, পাট, গম, ডাল, মিষ্টি আলু, পিঁয়াজ, পান, আখ, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি :  তিল, তিসি, কাউন, সরিষা।
প্রধান ফল-ফলাদি : আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, জাম, তাল, নারিকেল, আতা, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার :  মৎস্য ৫১, হাঁস-মুরগি ১৭৪, হ্যাচারি ১০।
যোগাযোগ বিশেষত্ব :  পাকারাস্তা ৬০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫৫০ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন  : পালকি, ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা :  আটাকল ১, আইস ফ্যাক্টরি ৫, বিস্কুট ফ্যাক্টরি ২০, লবণ কারখানা ১, বিড়ি কারখানা ১।
কুটিরশিল্প :  লৌহশিল্প ৫০, মৃৎশিল্প ৮৬, মাদুরশিল্প ৫৬, বাঁশের কাজ ২০, নকশী কাঁথা ১৮।
হাটবাজার ও মেলা :  হাটবাজার ২৮, মেলা ১। পাতার হাট, উলানিয়া হাট, কোর্টের হাট, বাংলাবাজার কাজির হাট ও দফাদার হাট উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পান, পিঁয়াজ, মিষ্টি আলু, সুপারি, ডাল, দধি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার  : এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪.৯৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস  : নলকূপ ৮৩.৪০%, পুকুর ৮.৩৫%, ট্যাপ ০.২৫% এবং অন্যান্য ৮.০১%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা  : এ উপজেলায় ৪০.৯৬% (গ্রামে ৩৬.৯৬% এবং শহরে ৭৫.১০%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫০.৮৪% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ৮.২০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১৩, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৮২২ ও ১৮৯৫ সালের বন্যা এবং ১৮৬৪, ১৯৬১ ও ১৯৬৫ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এ উপজেলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়াও ১৯৯৮ , ২০০৪ এবং ২০০৭ সালের সিডরেও এ এলাকার ব্যাপক মানুষ ও গবাদি পশুসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নদি ভাঙণ তো এলাকার নিয়মিত ঘটনাই!
তথ্যসূত্রঃ  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
তথ্যসংগ্রহেঃ লেখক ও প্রকাশক /অভয়া (ovoya)
Blogger দ্বারা পরিচালিত.