২৫ মার্চ ও ৩টি অজানা ঘটনা!
★২৫ মার্চ - গণহত্যা দিবস★
সময়: রাত্রি, ২৫ মার্চ, ১৯৭১।
ঘটনা-০১ঃ
ঘটনাস্থল : ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা (কাল্পনিক)
রাত তখন ২.০০। রাহেলা একটু আগেই তার একমাত্র বাচ্চাকে (ছেলেকে) উঠিয়ে বাথরুম করাতে দিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে কখন ছেলে বাথরুম থেকে আসবে আর ওকে শুতে নিয়ে যাবে! আচমকা ৪/৫ জন পোশাকধারী সৈন্য এসে ওকে তুলে নিয়ে গেলে। ছেলেটি বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখে ওর মা ওখানে দাঁড়িয়ে নেই! ভাবলো, ঘরে চলে গেছে ও ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখে কেউ নেই! পাগলের মতো হয়ে ছেলেটি ওর মাকে খুঁজতে সেদিন রাতে বের হলো আর কখনো ফিরলো না!
ঘটনাস্থল : ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা (কাল্পনিক)
রাত তখন ২.০০। রাহেলা একটু আগেই তার একমাত্র বাচ্চাকে (ছেলেকে) উঠিয়ে বাথরুম করাতে দিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে কখন ছেলে বাথরুম থেকে আসবে আর ওকে শুতে নিয়ে যাবে! আচমকা ৪/৫ জন পোশাকধারী সৈন্য এসে ওকে তুলে নিয়ে গেলে। ছেলেটি বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখে ওর মা ওখানে দাঁড়িয়ে নেই! ভাবলো, ঘরে চলে গেছে ও ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখে কেউ নেই! পাগলের মতো হয়ে ছেলেটি ওর মাকে খুঁজতে সেদিন রাতে বের হলো আর কখনো ফিরলো না!
ঘটনা -০২ঃ
ঘটনাস্থল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একটি ছাত্রীনিবাস (কাল্পনিক)
রাত তখন ২.১৫। মায়া, মনিকা আর সেজুতি। ওরা তিনজন সম্মান প্রথম বর্ষ শেষ করে কেবল ২য় বর্ষে পদার্পণ করেছে। তিনজন একই এলাকার হওয়ায় একসাথেই একরুমে থাকতো। উভয়ই উভয়ের প্রতি খুব আন্তরিক ওরা। জীবনের সকল কিছু একজন আরেকজনের সাথে শেয়ার করতো ওরা। পরবর্তী দিন শ্রেণী টেস্ট থাকায় অনেক রাত পড়ালেখা করে কেবলই লাইট অপ করে ঘুমোতে যাবে ওরা। হঠাৎ কয়েকজন পাকসেনা ওদের দরজায় ধাক্কা দিতে লাগলো। ওরা ভয় পেয়ে গেলো। ভয়ে ওদের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেলো। চেয়ার গুলো সব দরজায় জড়ো করে ওরা সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো। একটাই উদ্দেশ্য কিছুতেই যাতে এতো রাতে কেউ রুমে ঢুকতে না পারে। পাকিস্তানি সেনারা তাদের সকল শক্তি দিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়লো। তারপর ওদের যা যা হলো সেটা এখানে না বললেই নয়।...... সকালে হোস্টেলের সুপার এসে শুধু তিনটা মৃতদেহই পায়নি পেয়েছে রক্তেভেজা তিনটা বিছানা আর কাপড়!
ঘটনাস্থল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একটি ছাত্রীনিবাস (কাল্পনিক)
রাত তখন ২.১৫। মায়া, মনিকা আর সেজুতি। ওরা তিনজন সম্মান প্রথম বর্ষ শেষ করে কেবল ২য় বর্ষে পদার্পণ করেছে। তিনজন একই এলাকার হওয়ায় একসাথেই একরুমে থাকতো। উভয়ই উভয়ের প্রতি খুব আন্তরিক ওরা। জীবনের সকল কিছু একজন আরেকজনের সাথে শেয়ার করতো ওরা। পরবর্তী দিন শ্রেণী টেস্ট থাকায় অনেক রাত পড়ালেখা করে কেবলই লাইট অপ করে ঘুমোতে যাবে ওরা। হঠাৎ কয়েকজন পাকসেনা ওদের দরজায় ধাক্কা দিতে লাগলো। ওরা ভয় পেয়ে গেলো। ভয়ে ওদের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেলো। চেয়ার গুলো সব দরজায় জড়ো করে ওরা সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো। একটাই উদ্দেশ্য কিছুতেই যাতে এতো রাতে কেউ রুমে ঢুকতে না পারে। পাকিস্তানি সেনারা তাদের সকল শক্তি দিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়লো। তারপর ওদের যা যা হলো সেটা এখানে না বললেই নয়।...... সকালে হোস্টেলের সুপার এসে শুধু তিনটা মৃতদেহই পায়নি পেয়েছে রক্তেভেজা তিনটা বিছানা আর কাপড়!
ঘটনা -০৩ঃ
ঘটনাস্থলঃ রাজারবাগ পুলিশ লাইন এর পাশের একটি কলোনী।
তখন রাত আনুমানিক ৪.৪৫ আনুমিয়া রিকশায় চালক। সারারাত রিকশা চালিয়ে কেবল গ্যারাজে রিকশাটি জমা দিয়ে কলোনীর একটি রুমে ঢুকলো। ওখানে ওর স্ত্রী আর ২ ছেলে-মেয়ে থাকতো। ঘরে ঢুকতেই ওর কপাল চরকগাছ। দরজার সামনেই ওর ছেলো আর মেয়েটির লাশ পড়ে থাকতে দেখলো। কি করবে ভাবতেই না ভাবতেই ঘরের মধ্য থেকে ওর বউয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে দৌঁড়ো ঘরে ঢুকলো ও দেখে কয়েকজন পোশাক পড়া লোক ওর বউয়ের বস্ত্রাদি ছিন্ন করে পাগলের মতো টানাহ্যাঁচড়া করতে আছে। ও একটা বটি নিয়ে দৌঁড়ে একজন পাক সেনার ঘাড়ে বসিয়ে দিলোলো এক কোপ। আহত হলো পাকিস্তানি সেনা। কিন্তু রেহাই পেলো না আনুমিয়া এবং ওর স্ত্রী! দুজনকেই গুলি করে হত্যা করলো ওরা।
ঘটনাস্থলঃ রাজারবাগ পুলিশ লাইন এর পাশের একটি কলোনী।
তখন রাত আনুমানিক ৪.৪৫ আনুমিয়া রিকশায় চালক। সারারাত রিকশা চালিয়ে কেবল গ্যারাজে রিকশাটি জমা দিয়ে কলোনীর একটি রুমে ঢুকলো। ওখানে ওর স্ত্রী আর ২ ছেলে-মেয়ে থাকতো। ঘরে ঢুকতেই ওর কপাল চরকগাছ। দরজার সামনেই ওর ছেলো আর মেয়েটির লাশ পড়ে থাকতে দেখলো। কি করবে ভাবতেই না ভাবতেই ঘরের মধ্য থেকে ওর বউয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে দৌঁড়ো ঘরে ঢুকলো ও দেখে কয়েকজন পোশাক পড়া লোক ওর বউয়ের বস্ত্রাদি ছিন্ন করে পাগলের মতো টানাহ্যাঁচড়া করতে আছে। ও একটা বটি নিয়ে দৌঁড়ে একজন পাক সেনার ঘাড়ে বসিয়ে দিলোলো এক কোপ। আহত হলো পাকিস্তানি সেনা। কিন্তু রেহাই পেলো না আনুমিয়া এবং ওর স্ত্রী! দুজনকেই গুলি করে হত্যা করলো ওরা।
★★★এরকম হাজারো ঘটনা ঘটিয়েছিল ঐ নরপিশাচ পাকবাহিনী। সেদিন আমার মায়ের কোল খালি করে ওরা নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। ধর্ষণ আর হত্যাই ছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মূলমন্ত্র। তাই, ২৫ মার্চ এলেই আমার হ্নদয় কেঁদে উঠে! মনে হয় আমি আমার সব কিছু হারিয়ে ফেলেছি। তাই, আজ ২৫ মার্চ একবুক দুঃখ নিয়ে স্মরণ করছি ঐ সকল মা- বোন আর ভাইদেরকে যাঁদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পোয়েছি একটি স্বাধীণ রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
সংগৃহীতঃ লেখককে অনুসরণ করুন >>(https://www.facebook.com/younus.info/)
[বি.দ্রঃ পোস্টটি ভালো লাগলে লাইক, কমেন্টস আর শেয়ার করার অনুরোধ করছি]
কোন মন্তব্য নেই